মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে পানি গত ২৪ ঘণ্টায় দফায় দফায় বেড়ে এখন স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদ-নদীতে পানি বাড়ায় গত বৃহস্পতিবার জেলার বেশকিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়ে গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা করছেন বানভাসি মানুষ। বন্যার্তদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি। বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট চলছে। পশুখাদ্যের সংকটও প্রকট। সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ তৎপরতা চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
উজানের ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫১ সে.মি এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ইতোপূর্বে বন্যা কবলিত যে সমস্ত এলাকা থেকে পানি সরে গিয়েছিল সে সমস্ত এলাকাসহ নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় মানুষের দূর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। এর ফলে পানি কমতে শুরু করায় ঘরবাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিতে শুরু করা বানভাসিদের অপেক্ষার প্রহর আরো দীর্ঘায়িত হয়ে পড়েছে।
বন্যার্ত মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা পর্যাপ্ত নয়। গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গবাদি পশুর খাদ্য ক্রয়ে দুই লাখ এবং শিশুখাদ্যের জন্য দুখ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।